নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ভুট্রার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সারা মাঠ জুড়ে এখন শুধু ভুট্টার উঠতি চারা শোভা পাচ্ছে। ঝিলমিল করে বাতাসে দোলছে ভুট্টার সবুজপাতা।
কৃষক অধীর আগ্রহে মনের খুশিতে মাঠে কাজ করছে ফসল ঘরে তোলার জন্য।
উপজেলায় অধিকাংশ প্রান্তিক চাষীরা গত কয়েক বছর যাবৎ ভুট্টার চাষ করে আসছে। অন্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা চাষ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভুট্টা চাষে কীটনাশক ও সেচ তেমন বেশি দিতে হয় না। বর্তমানে আটার বিকল্প ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়ছে; তাছাড়া পোল্ট্রী শিল্পের জন্যও ভুট্টার চাহিদা রয়েছে।
বিঘা প্রতি আট থেকে দশ হাজার টাকা খরচ করে চাষীরা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারে।
চলতি মৌসুমে ফলনের আকৃতি ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।
কৃষক আবু হানিফ ও রুহুল মিয়া জানান, ভুট্টার চাষ খুবই লাভজনক; সেচ ও কীটনাশক কম লাগে।
আবার ভুট্টা ঘরে তুলার পর জমিতে পাট ও ধানের আবাদ করা যায়। একবিঘা জমিতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ মন ভুট্টা হয়, যা ধানের তুলনায় অনেক বেশী।
ভুট্টা চাষে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা খুবই কম। কৃষি বিভাগের পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাওয়া গেলে তারা আরো বেশী লাভবান হবেন বলেও জানান।
মামুদনগর ইউনিয়নের ভুট্টা চাষী সিদ্দিক মিয়া বলেন, ধানের চেয়ে ভুট্টা মারাই করা সহজ। ভুট্টাসহ তিনটি ফসল আবাদ করা যায়।
ভুট্টা চাষে খরচ কম লাভ বেশী। অন্য বছরের তুলনায় এবার ফলন ভাল হবে বলেও তিনি আশা করেন।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইল নাগরপুর উপজেলায় ১৫ শত হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হচ্ছে।
আশা করা যাচ্ছে এবার ১৮ হাজার একশত ৬০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদিত হবে।
কৃষি বিভাগ ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধি করতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করছে বলেও তিনি জানান।
ফসলের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবেন। একই সাথে আগামীতে নাগরপুর উপজেলায় ভুট্টার আবাদ আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। সম্পাদনা – অলক কুমার