টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের এক স্কুল ছাত্রী (১৪) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় এক লম্পট। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানা জানি হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অবশেষে পুলিশ ধর্ষক মো. ফরহাদ খান (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষিতা উপজেলার মেহের আলী খান স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। মামলা ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মেয়েটি পচাসারুটিয়া মেহের আলী খান স্কুল এন্ড কলেজে ৮ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। প্রতিবেশী মোঃ ফরহাদ খান (৫৫) স্কুল ছাত্রীর বাবার অনুপস্থিতে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৪ সালের ১৪ নভেম্বর দুপুর অনুমান ২ টার দিকে ধর্ষণ করে। এর পর থেকে সুযোগ পেলেই স্কুল ছাত্রীর সাথে শারিরিক সম্পর্কে মিলিত হতো।
এক পর্যয়ে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গর্ভবতীর বিষয়টি ফরহাদ খানকে জানায় এবং বিয়ের জন্য চাপ দেয় স্কুল ছাত্রী। এর পর থেকেই এড়িয়ে চলতে থাকে ধর্ষক। উপায়ুন্তর না পেয়ে মেয়েটি তার দাদীকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে তার পিতা নাগরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে ধর্ষক ফরহাদ আত্মগোপনে ছিল।
এদিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পচাসারুটিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে ধর্ষক ফরহাদ খান কে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।এ বিষয়ে কথা হয় নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের সাথে।
তিনি জানান, ধর্ষক ফরহাদ খান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবান বন্দি দিয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সে ৮ মাসের গর্ভবতী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।