টাঙ্গাইলের মধুপুর শালবনকে আগের প্রাকৃতিক রূপে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। ইতোমধ্যে শালগাছের চারা রোপণ, বনের সীমানা চিহ্নিতকরণ এবং ময়ূর ও কচ্ছপ অবমুক্তকরণের মধ্য দিয়ে এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তিনি জানান, শালবনের সীমানা নির্ধারণ করে আগ্রাসী ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ অপসারণ করা হবে। এরপর ৭০/৩০ অনুপাতে শাল (গজারি) ও এর সহযোগী গাছ লাগিয়ে বনটি প্রাকৃতিক রূপে ফিরিয়ে আনা হবে।
বনের টেকসই উন্নয়নে স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বনে বসবাসকারীদের সঙ্গে বন বিভাগের দূরত্ব কমাতে পারলে তারাই এ বন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।”
এ সময় তিনি বন বিভাগের দায়ের করা ১২৯টি মামলার মধ্যে অপ্রয়োজনীয় মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
পরবর্তীতে রাজাবাড়ী এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপন এবং লুহুরিয়া হরিণ প্রজননকেন্দ্রে ১০টি ময়ূর ও প্রাকৃতিক পরিবেশে ৭৩টি কচ্ছপ অবমুক্ত করেন উপদেষ্টা।
আলোচনা সভায় প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গারো নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় প্রতিনিধিরা প্রকল্পের পক্ষে সমর্থন জানান। জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেন, “এ উদ্যোগের মাধ্যমে বনবাসীদের ভূমি সমস্যারও সমাধান হবে বলে আশা করি।”