অপহরণ, চাঁদাবাজ ও মারধরের অভিযোগে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লালহাড়া গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নাবালিকা অপহরণ ও ধর্ষণকারী, এলাকার ত্রাস সজীব ও বাইয়া হযরতের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
সোমবার (০১ জুন) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়। পরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন একই গ্রামের আজম খান সহ গ্রামের কয়েকটি পরিবার।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আজম খান বলেন, আমার এক ভাতিজি গত ২৮ মে বিকেলের দিকে বাড়ির পাশে এক দোকান থেকে কিছু জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছিল। তখন এলাকার সন্ত্রাসী বাইয়া হযরতের ছোট ছেলে সজীব তার সহযোগী নিয়ে ভাতিজীকে তুলে নিয়ে যায়।
এ খবর পাওয়ার পর আমার পরিবারের লোকজন সজীবের বাড়ীতে গিয়েও তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশকে জানালে রাত ৯টার দিকে ভাতিজিকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সজীবকে গ্রেফতার করেছে।
এ ব্যাপারে বাইয়া হযরত, সজীব সহ চারজনকে আসামী করে দেলদুয়ার থানায় মামলা করা হয়। কিন্তু মামলার অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীরা আমার পরিবারের লোকজনদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বাইয়া হযরত বাহিনীর লোকজন দীর্ঘদিন ধরে এলাকার অসহায় মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। চাঁদা দাবি করে না পেলে হামলা করছে বিভিন্ন লোক জনকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত বাইয়া হযরত মুঠোফোনে জানান, ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে বিপদে ফেলার জন্য এই পায়তারা করতেছে। মেয়েটি আমার ছেলের বউ। তারা ভালোবেসে বিয়ে করেছে। সব প্রমাণ আছে।