টাঙ্গাইল জেলায় চলতি মৌসুমে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় এবার আখের উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে। চারদিকে শুধু আখ আর আখ—এমন দৃশ্য এখন জেলার গ্রামীণ অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে।
আখের বাজারদর বেশি থাকায় কৃষকরা খুশি। পাইকাররা সরাসরি জমি থেকে আখ কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় ক্রেতারাও খুশি। হাটবাজারে চিবিয়ে খাওয়ার আখ প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মেশিনে মাড়ানো আখের রস প্রতি গ্লাস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টাঙ্গাইলে ঈশ্বরদী, ধলেশ্বরী ও মিশ্রীদানা জাতের আখের আবাদ বেশি হয়। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বর্তমানে তারা জমি থেকে আখ কেটে বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষকরা জানিয়েছেন, সরকারি সহযোগিতা আরও বাড়ানো হলে আখ চাষের পরিধি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। তবে জেলায় চিনিকল না থাকায় এখানকার আখ মূলত চিবিয়ে খাওয়া হয় এবং স্থানীয়ভাবে গুড় উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। স্থানীয়দের মতে, যদি সরকার বা বেসরকারি উদ্যোগে চিনিকল স্থাপন করা হয়, তাহলে আখের চাষ আরও ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাবে।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ৪৫১ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশেক পারভেজ জানান, আখের আবাদ ও ফলন বাড়াতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।