টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে ঐতিহাসিক মাকড়াই দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উদ্যোগে ১৬ আগস্ট ঐতিহাসিক স্থান মাকড়াইয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতিক, জেলা কৃৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, সখিপুর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহবায়ক আব্দুস সবুর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা সানোয়ার হোসেন মাষ্টার, দুলাল হোসেন, আলমগীর সিদ্দিকী, ছাত্র আন্দোলন নেতা ইমরুল হাসান। সভাপতিত্ব করেন ঘাটাইল উপজেলা কৃৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম।
১৯৭১ এর ১৬ই আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় দিন। পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে মুক্তি পাগল বাঙালির যুদ্ধের নানান ঘটনা স্বাধীনতার ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, ১৬ আগস্ট বেলা একটা পনের মিনিট। ধলাপাড়ার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মার খেয়ে একদল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পিছিয়ে আসছিল। এরকম একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তিনি তার সঙ্গীয় সাহসী সাথীদের নিয়ে হানাদার বাহিনীর পিছিয়ে আসার রাস্তায় উৎপেতে বসে রইলেন। অপেক্ষা শুধু মোক্ষম সময়ের।
খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। বেলা একটা কুড়ি মিনিট মতো হবে। এর মধ্যেই পঞ্চাশজনের একটি দল এলোমেলোভাবে পিছিয়ে আসছিল। সাথে সাথেই কাদের সিদ্দিকী বাহিনীর চাইনিজ এল এমজি গর্জে উঠলো। এসময় হানাদার বাহিনীর অবস্থান নেওয়া বা পালানোর খুব একটা সুযোগ ছিলনা। মৃতদেহের আড়াল নিয়ে হানাদার বাহিনীর দু-একটা গুলি করেছিল। যুদ্ধটা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলেই ছিল। হঠাৎ করেই একটি গুলি এসে কাদের সিদ্দিকীর হাতের তালু ভেদ করে পায়ে গিয়ে লাগে।
রক্তে চোখ মুখ ও এলএমজি ভিজে যায়। এমতাবস্থায় কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক কাদের সিদ্দিকীকে সহযোদ্ধারা নিরাপদে পিছিয়ে নিতে সক্ষম হন। মাত্র দশ মিনিটের যুদ্ধে ত্রিশ জন খান সেনা আহত ও নিহত হয়। ঐতিহাসিক এই যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম শহীদ হন। আর এভাবেই “মাকড়াই যুদ্ধ” বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্থান লাভ করে। সম্পাদনা – অলক কুমার