টাঙ্গাইলে নিখোঁজ কলেজ ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন আশিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহত আশিকের মা আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে বুধবার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, মামলায় সরাসরি কারো নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে নিহত আশিকের প্রেমিকার ভাই মাহিন ও তাদের পরিবার আরো লোকজনের সহায়তা নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আশিকের প্রেমিকা, তার ভাই ও মাকে আটক করেছে।
বুধবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে আশিকের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ ছাত্রের আশিকের লাশ শহরের কাগমারা এলাকায় লৌহজং নদ থেকে উদ্ধার করা হয়। আশিক ওই এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশে কর্মরত রাশেদুল ইসলামের ছেলে। তিনি শহরের মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
আশিকের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে একই এলাকায় তার প্রেমিকার বাসায় মুঠো ফোন আনতে গিয়ে আশিক নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে আশিকের মা নিখোঁজের পরপর টাঙ্গাইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছিলেন।
মামুনের বাবা রাশেদুল ইসলাম জানান, কয়েক মাস আগে থেকে প্রতিবেশি এক মেয়ের সাথে তার ছেলে আশিকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আশিক ওই মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য তাকে একটি মোবাইল ফোন সেট উপহার দেয়। মেয়ের বড় ভাই বিষয়টি জানার পর আশিককে মোবাইল ফোন ফেরত নিতে তাদের বাসায় ডাকেন। গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে আশিক ওই মেয়ের বাসায় মোবাইল ফোন সেট আনতে যায়। তারপর থেকে আশিক নিখোঁজ ছিলো।