টাঙ্গাইলে গরু ডাকাতি মামলায় তিন ডাকাতকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাহবুব খান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুরের পর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় হেফাজতে নেয়া হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বগুড়ার শিবপুর উপজেলার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত দিলবার হোসেনের ছেলে মো. নুর আলম (৩৭), বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জামুর মধ্যপাড়া গ্রামের আ. ছালামের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (৩০) ও একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে মো. রানা মাহমুদ (৫০)।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদরের দেলধা গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের ছেলে মো. বাবু লালমনিরহাট বড়বাড়ী হাট হতে ছয়টি ষাড় গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই দিবাগত রাতে তাহের বহনকৃত পিকআপটি বাসখানপুর হট্টিচরা আসলে ৭/৮ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের গরু গুলো ডাকাতি করেন। এ ঘটনায় পরদিন ২৪ এপ্রিল আব্দুল জলিল বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৫ এপ্রিল ডাকাত সর্দার মো. নুর আলমকে বগুড়ার শিবগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে থাকা নুর আলমের তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ এপ্রিল রাতে ইমরান হোসেন ও রানা মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তানবীর আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীরা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন গরু চুরি, ডাকাতি, ডাকাতির চেষ্টা, মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা আনা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।