টাঙ্গাইলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ; আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ধর্ষকের

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দুইজন মিলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক গোলাম মোস্তফা (৫০)।

শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হাসানাতের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দীতে তারা দুইজনে মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাতে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার অপর আসামি ধর্ষক ইসমাইল হোসেন পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানায়, ধর্ষক গোলাম মোস্তফা তার জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।

ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নে বাসুদেবকোল গ্রামের ইসমাইল হোসেন ওই ছাত্রীকে কৌশলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।

এ সময় তার সঙ্গে যোগ দেয় গোলাম মোস্তফা নামের আরও একজন।

বাড়ি ফাঁকা থাকায় তারা দুজন মিলে শিশুটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ সময় কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় হয় তাকে।

ধর্ষিতার পরিবার জানায়, ধর্ষণের পরে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে শিশুটি তার পেটে ব্যথা অনুভব করলে বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।

এরপর দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গোলাম মোস্তফা ও ইসমাইলের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গোলাম মোস্তফা ও ইসমাইলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

পরে গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হলে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

অপর আসামি ধর্ষক ইসমাইলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এসময় তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত গোলাম মোস্তফা (৫০) উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের দূর্গমচরাঞ্চল বাসুদেবকোল গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে ও ইসমাইল হোসেন (৪০) একই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। সম্পাদনা – অলক কুমার