নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রকে বিয়ে করেছেন এক শিক্ষিকা।
শিক্ষিকা ওই ছাত্রের চেয়ে ৫/৬ বছরের বড় হলেও বিবাহের রেজিস্টারে ২১ বছর দেখানো হয়েছে।
তবে জানা যায়, ওই ছাত্র টাঙ্গাইল পলিটেকনিকের টেলিকমিউকেশন টেকনোলজি বিষয়ে ১ম বর্ষের ছাত্র।
শিক্ষিকা ও ছাত্রের অসম বয়সের প্রেম ও বিবাহের এমন ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইল এর ঘাটাইল উপজেলায়।
আরো পড়ুন – অধ্যক্ষকে জনসমুক্ষে ক্ষমা চাইতে বললেন সমন্বয়করা
টাঙ্গাইল পলিটেকনিক এর শিক্ষিকা মাতলুবা ইয়াসমিন মিতু কাজী অফিসে গিয়ে একই প্রতিষ্ঠানের প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুর রহিম রানাকে বিবাহ করেন।
সেই সাথে বিয়ের প্রমাণপত্র ও তাদের ছবি, বিয়ের কাবিন ও নোটারি রেজিস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
তাদের বিয়ের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় এলাকায় হইচই পড়ে গেছে।
শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, সাবেক খন্ডকালীন শিক্ষিকা মাতলুবা ইয়াসমিন মিতু টাঙ্গাইল পলিটেকনিক কলেজের খÐকালীন শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তার বাড়ী ঘাটাইল উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামে।
অন্যদিকে আব্দুর রহিম রানার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার, ভালুকা থানার, কাচিনা ইউনিয়ন। সে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক এর টেলিকমিনিকেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
তার বিবাহের প্রমাণপত্রে সূত্র অনুসারে জানা যায়, আব্দুর রহিম রানা ওই এলাকার শমসের আলী ও আসিয়া খাতুন এর ছেলে।
খুব সম্প্রতি তাদের বিয়ের খবর জানাজানি হলে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। বর্তমানে সে আব্দুর রহিম রানার বাড়িতে বসবাস করছেন এই দম্পতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঘনিষ্ঠজন জানান, টাঙ্গাইল পলিটেকনিক এর টেলিকমিনিকেশন টেকনোলোজির বিভাগের সাবেক খন্ডকালীন শিক্ষিকা প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুর রহিম রানার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে এর পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
এই বিয়ের পর রানার পরিবার মেনে নেয়।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে ভিপি নূরের উপর হামলা – প্রায় তিন বছর পর মামলা
সামাজিক ভাবে বিভিন্ন মহলে নানা কুৎসিত মন্তব্যের তোয়াক্কা না করে নতুন করে সংসার শুরু করেছেন তিনি।
আজীবন রানাকে নিয়ে সুখে থাকতে চান তিনি।
রানার বক্তব্য –
আব্দুর রহিম রানা জানান, মন্তব্য কখনও কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারেনা।
কে কি বললো সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মত সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছেন। সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।