টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদরাসার অধ্যক্ষ খাইরুল ইসলামকে মায়ের চেকে জাল স্বাক্ষর করে অন্যকে প্রদান করার মামলায় জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল ম্রং এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার ধার্য তারিখে আসামি খাইরুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন খালিদ তাকে নির্দোষ দাবি করলেও বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ হোসেন মনি এবং অন্যান্য আইনজীবীরা জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ২ এপ্রিল টাঙ্গাইল জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট এম এ মালেক আদনানের কাছ থেকে নয় লাখ টাকা ধার নেন খাইরুল ইসলাম ও তার মা খাদিজা বেগম। একই বছরের ১৯ মে টাকা পরিশোধের জন্য খাইরুল ইসলাম তার মায়ের নামে থাকা চেকের পাতায় জাল স্বাক্ষর করে মালেক আদনানকে দেন। পরবর্তীতে ব্যাংক চেকটি ডিজঅনার করলে খাদিজা বেগমের নামে মামলা হয়।
খাদিজা বেগমের মৃত্যুতে মামলাটি স্থগিত থাকলেও ২০২৫ সালের ১৭ অক্টোবর মালেক আদনান নতুন করে খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ডিবি পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায় এবং প্রতিবেদন দাখিল করে।