আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে কোর্টে হাজির করা মাত্র ধর্ষণ মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামি জামিনের আদেশ হয়েছে।
বাদী পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের শুনানীতে অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে তরিঘড়ি করে জামিন আদেশ দেন বলে অভিযোগ বাদী পক্ষের আইনজীবীর।
সোমবার (১৯ জুলাই) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন এই জামিন আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত গোপালের লম্পট ছেলে শুভ (১৮) একই গ্রামের নাবালিকা (১৩)কে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতো।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুযোগ বুঝে নাবালিকার ঘরে ঢুকে ধারালো ছুড়ি দিয়ে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এরপর থেকে লম্পট শুভ ভয় দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে বার বার ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে নাবালিকা (১৩) শিশু গর্ভবতী হয়।
পরবর্তীতে গত বছর ০৯ ডিসেম্বর একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে ওই শিশুর বয়স ৭ মাস।
ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালে ০৮ মার্চ।
এই ঘটনায় মামলা করতে গেলে ভূঞাপুর থানা মামলা না নিলে ধর্ষিতার বাবা টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন।
পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব তার প্রতিবেদনে ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এবিষয়ে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. মহিউদ্দিন মামুন বলেন, আসামিকে কোর্টে হাজির করা মাত্রই জামিন মঞ্জুর করা হয়।
আমরা শুনানীতে অংশ গ্রহণ করার আগেই তরিঘড়ি করে জামিন দিয়ে দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকেও শুনানীতে থাকার সুযোগ না দিয়ে তরিঘড়ি করে এই জামিন দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, ভূঞাপুর থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে সোমবার (১৯ জুলাই) আদালতে সোপর্দ করার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিনের আদেশ দেন বিচারক।
জামিনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আলী আহমেদ মুঠো ফোনে জানান, জামিনের বিষয়টা আমি জানি না।
জামিনের পর মামলার বাদী বলেন, জামিন পেয়েই আসামি আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এখন আমাদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নাই। সম্পাদনা – অলক কুমার