নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ভূক্তা গ্রামের মোহিনী বিড়ি ফ্যাক্টরিতে নকল বিড়ি তৈরি ও বাজারজাতকরণ, নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের অভিযোগে কারখানার ম্যানেজার নজরুল ইসলাম (দুখু)কে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় কাস্টমস কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে এই অভিযান পরিচালনা করে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় অফিস, টাঙ্গাইল অঞ্চল।
এই বিষয়ে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় অফিস, টাঙ্গাইল অঞ্চলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুব্রত পাল বাদি হয়ে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত নজরুল ইসলাম (দুখু) উপজেলার ভূক্তা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
এই বিষয়ে টাঙ্গাইল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা জোবায়দা খানম ঢাকায় থাকায় উনার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
কিন্তু অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারাও এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে লুকোচুরি শুরু করেন।
অফিসের নিচের কাউন্টার থেকে সিপাহী রিপন – ফেরদৌস নামের এক কর্মকর্তার নম্বর (০১৭৫৫৯৩৯৪০১) দেন যোগাযোগ করার জন্য।
এর আগে সকালে ৯টার দিকে অফিসে এসে এই কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অপেক্ষা করতে বলেন।
পরবর্তীতে তিনি আর কোন তথ্য দেননি।
এরপর সাংবাদিকরা বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেও তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন।
এসময় ভ্যাট অফিসের নিচে থাকা কয়েকজন জানায়, প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বিড়ি জব্দ করে অফিসে নিয়ে এসেছেন।
যা পরে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার বিড়ি দিয়ে থানায় মামলা দেয়া হয়।
তখন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানান, মিষ্টি বিড়ি ফ্যাক্টরির শ্রমিক।
ওই বিড়ি শ্রমিকরা আরো জানান, মিষ্টি বিড়ির মালিক তোফাজ্জল মধ্যস্থতা করছেন ঘটনাটি মিমাংসা করার জন্য।
মামলার সূত্রে যা জানা যায় –
পরে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম জানান, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় অফিস, টাঙ্গাইল অঞ্চলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুব্রত পাল বাদি হয়ে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-এ/২৫-এ (বি) ধারায় কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় একজন আসামী আছে। মামলা নম্বর – ১৩, তারিখ – ২৯/০৯/২০২০।
সেসময় তিনি আরো জানান, জব্দ তালিকায় ছয় লক্ষ ৮০ হাজার টাকার বিড়ি দেখানো হয়েছে। কিন্তু সেই বিড়ি থানায় জমা দেয়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৬৯ সালের কাস্টমস আইনের ১৫৯ এর ধারা মোতাবেক কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের বিভাগীয় অফিস, টাঙ্গাইল অঞ্চলের শুল্ক গুদামে রক্ষিত আছে।
পরে সরেজমিনে ভূক্তা এলাকায় গেলে এলাকাবাসী বলেন, রাতের অন্ধকারে কাস্টমস অফিস অভিযান করেছে।
প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বিড়ি জব্দ করে নিয়ে গেছে।