বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের বাসাইলে নির্মিত হচ্ছে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সরকারি অনুমোদনও মিলেছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দুইটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বাসাইলে একটি আর কক্সবাজার সদরে একটি।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলের সৃষ্টি আবাসিকের ছাত্ররা কি শিখছে? উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বৈঠক শেষে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেয়েছে যৌথভাবে রিনিউবেল এনার্জি ইউকে লিমিটেড, বাদল কনস্ট্রাকশন ও জি-টেক সলিউশন লিমিটেড কনসোর্টিয়াম।
প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ টাকা ৯৯ পয়সা হিসাবে সরকার তাদের আনুমানিক ৩ হাজার ৫৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করবে।
তিনি আরো জানান, প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ টাকা ৯৮ পয়সা হিসাবে তাদের সরকার পরিশোধ করবে ৩ হাজার ৫৫৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এবিষয়ে বাদল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকার মো. বাদল মিয়া জানান, ইতিমধ্যে প্রকল্পটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তি (সৌর শক্তি থেকে সৌরবিদ্যুৎ) উৎপাদনে জোর দেয়া হচ্ছে।
জ্বালানি আমদানি কমাতে বাংলাদেশ সরকারও এখাতে জোর দিয়েছে।
আমরা (বাদল কনস্ট্রাকশন) সেই উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত।
তিনি আরও জানান, তবে এখনও অনুমোদনের লিখিত কাগজ হাতে পাইনি। কাগজ হাতে পেলে বিস্তারিত বলবো।
আরো পড়ুন – সমর্থনকারী ভোটারকে আটকে রেখে মনোনয়ন বাতিলের অভিযোগ ঠান্ডুর
তবে এটা বলতে পারি, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, এই এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থানীয় বেশ কিছু দক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।