নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী মিছিলে আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মিছিলে গুলির ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমান সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনের সমর্থকের গুলিতে ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. মামুনুর রশিদ।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- বাঘিল ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মী সিয়াম ও রোকন মিয়া।
তাদের মধ্যে রোকনুজ্জামানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় আহত রোকনুজ্জামান রোকনের বাবা ফজলুর রহমান বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর – ২৫, তারিখ – ২৫/১২/২০২৩।
মামলার আসামিরা হলো – আব্দুর রাজ্জাক, আকালু মিয়া, আবুল হাশেম, আশিক, কামরুল ও ফারুক।
ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ জানান, রাতে বাঘিলে নৌকার পক্ষে তার সমর্থকরা মিছিল বের করে।
এসময় বর্তমান এমপি ছানোয়ার হোসেনের সমর্থকরা মিছিলে অতর্কিত গুলি চালায়।
এতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
তাদের টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন জানান, রাত ১১টি ৩০ মিনিটে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কেন মিছিল করা হয়েছে?
নৌকার পক্ষের লোকজন ঈগলের অফিস ভাংচুর করে এই নাটক সাজিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনায় যারা আহত হয়েছে, তারা কেউ যুগনি এলাকার লোক নয়। এরা সবাই বহিরাগত।
ঈগলের অফিস রাতে ভাঙচুর করার সাথে সাথেই সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আশা করি, সুষ্ঠু তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে।
এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ঈগল প্রতীকের) তিন সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টাঙ্গাইল-৫ আসনে এমপি নির্বাচিত হন ছানোয়ার হোসেন।
তবে এবার তাকে সরিয়ে ওই আসনে মামুনুর রশিদকে নৌকার মাঝি করেছে আওয়ামী লীগ।