টাঙ্গাইলে প্রথম দিনে ৫০ হাজার শিশু ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খেয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে। এই ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ১৭ অক্টেবর পর্যন্ত।

সেই লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলেও ভিটামিন “এ” এবং “এ প্লাস” ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এবার টাঙ্গাইলে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৮শ’ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই কার্যক্রমের প্রথম দিন অর্থাৎ ৪ অক্টোবর ৪৯ হাজার ৬শ’ ৬১ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।

এর মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস পর্যন্ত বয়সী পাঁচ হাজার তিনশ’ ৬১ শিশুকে নীল রংয়ের (১ লক্ষ আই.ইউ) ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।

আর ১২ থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত বয়সী ৪৪ হাজার তিনশ’ শিশুকে লাল রংয়ের (২ লক্ষ আই.ইউ) ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসময় তিনি বলেন, আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল কেন খাওয়াবেন?

শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো খুবই জরুরি। তাই অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তানকে যেন অবশ্যই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ালে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ রোগের হাত থেকে সারাজীবনের জন্য রক্ষা পায়। যেমন –

১. এদের মধ্যে শিশুর রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ প্রতিরোধ করে।

২. শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৩. অন্ধত্বের চারটি প্রধান কারণের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত কর্ণিয়ার রোগ ও কর্ণিয়ার ক্ষত অন্যতম।

     এই ভিটামিনটির অভাবে আপনার শিশু রাতকানা হয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

৪. এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫. ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ করে।

      দেহ বৃদ্ধি, বিশেষ করে দেহের অস্থি কাঠামোর বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’-এর সংযোগ রয়েছে।

৬. ভিটামিন ‘এ’ জীবাণু সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

সম্পাদনা – অলক কুমার