নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে থানাপাড়া এলাকা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেলের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়।
অন্যদিকে শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড়মনির নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
পরে দুই মিছিল একত্রিত হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাহার আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড়মনি।
আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক তানবীরুল ইসলাম হিমেলে, শহর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মানিক সিকদার প্রমুখ।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস আকবর আলী খান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ তারেক পলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন ও
পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিনসহ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, এ হত্যা মামলায় আসামীরা এখনো পলাতক রয়েছেন।
এই হত্যা মামলার আসামীরা এখন শান্ত টাঙ্গাইলকে আবারো অশান্ত করতে চায়।
তাই আমরা সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মোহাম্মদ আলীর নামক দুইজনকে ২০১৪ সালের গ্রেপ্তার করে।
ওই দুই আসামীর জবানবন্দিতে এই হত্যার সাথে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা এবং তার অপর তিন ভাই পৌরসভার তৎকালিন মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা কাকণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
তারপরেই আমানুর ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।