নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে বাস ও সিএনজি চালিত ইজিবাইক সংঘর্ষে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার স্ত্রী ও এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন।
এঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, ঘাটাইল উপজেলার হরিপুর গ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেনের স্ত্রী নুসরাত জাহান হিমু (৩০)।
হতের স্বামী সাখাওয়াৎ হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। নুসরাত জাহান হিমু (৩০) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাচা আলতাফ হোসেন।
অপর নিহত হলেন, গোপালপুর উপজেলার চরচতিলা মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও উত্তর বিলডোবা গ্রামের মৃত নঈম আলী মন্ডলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫৫)।
আহতরা হলেন- ঘাটাইল উপজেলার নজুনবাগ গ্রামের ফরিদা বেগম, ফরিদা বেগমের ভাসুর আব্দুল করিম (৪৫)। তাদেরকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকায় দূর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, নিহত হিমু শাশুরি ফরিদা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ঘাটাইল থেকে সিএনজিযোগে টাঙ্গাইল যাচ্ছিলেন।
অপর নিহতকে শিক্ষক সাইফুল ইসলামও ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন।
তাদের বহনকারী সিএনজি চালিত ইজিবাইক ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে গাইবান্ধাগামী সূর্য পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষক সাইফুলের মৃত্যু হয়, এসময় গুরুত্বর আহত হন হিমু ও তার শাশুড়ি ফরিদাসহ তিনজন।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এতে হিমুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়, পরে ঢাকার নেয়ার পথে হিমুর মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাহিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাবনা ওভারপাসের নিচে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাইফুল ইসলাম নিহত হয়।
সিএনজি চালকসহ দুই নারী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নুসরাত জাহান হিমুর মৃত্যুর বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও সাইফুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার