টাঙ্গাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অফিস কক্ষে ঢুকে মারধরের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল হুদা নবীনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় নবীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিস্তারিত ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1611059765731953&set=a.322332724604670&type=3
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২৮ মে) টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে এই বরখাস্তের কথা জানায়।
নাজমুল হুদা নবীনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) একেএম মমিনুল হককে গত ২১ মে তার অফিস কক্ষে ঢুকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে পিআইও মমিনুল নিজে বাদি হয়ে গত ২২ মে টাঙ্গাইল সদর থানায় নবীনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর নবীন গা ঢাকা দিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম নবীনের বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার তাকে চিঠি দিয়ে নবীনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
মামলায় পিআইও অভিযোগ করেন ঘটনার দিন বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার অফিস কক্ষে অবস্থানকালে ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা ও তপু নামক তার অপর এক সহযোগীসহ আরও ৪/৫ জন ওই কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা সরকারি কাজে বাঁধাদান করে অবৈধভাবে ত্রাণের কিছু ¯িøপ তাকে (পিআইও) দেন। তখন পিআইও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে ত্রাণ দিতে অস্বীকার করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অফিসের দরজা বন্ধ করে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা পিআইওকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে চলে যান।
পরে পিআইও মমিনুল হক টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিক ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় নামেন। নাজমুল হুদা নবীন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।