নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের সাবেক দুই নেতার এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ঢাকা থেকে দুজন এবং থানা-পুলিশ টাঙ্গাইল থেকে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া দুজন হচ্ছেন সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকালু মিয়া ও একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে নৌকার সমর্থকদের ওপর গুলির ঘটনায় জড়িত দুজন ঢাকায় গ্রেপ্তার: র্যাব
গত রোববার রাতে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর গুলির ঘটনার পরপরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
থানা-পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার তাঁদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পশুপতি বিশ্বাস তাঁদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আরেক আসামি আবুল হাসেমকে গতকাল পুলিশ সদর উপজেলার যুগনী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।
তাঁকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
বুধবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
হাসেম বাঘিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য।
এদিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে এই মামলার আসামি ফারুক হোসেন ও কামরুল ইসলামকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছে।
আজ ঢাকায় র্যাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এই দুজনের গ্রেপ্তারের খবর জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ফারুক হোসেন বাঘিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কামরুল ইসলাম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
দলীয় সূত্র যা জানায় –
রোববার রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের যুগনী গ্রামে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুন-অর-রশিদের সমর্থকদের ওপর গুলি চালানো হয়।
আরো পড়ুন – প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, প্রচারে বাঁধা, মিথ্যা মামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
এতে বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মী এমদাদুল হক ও সিয়াম গুলিবিদ্ধ হন।
তাঁদের প্রথমে টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
গুলিবর্ষণের ঘটনায় গতকাল বিকেলে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা হয়।
মামলার বাদী হয়েছেন গুলিতে আহত রোকনুজ্জামানের বাবা ফজলুর রহমান। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
অজ্ঞাতনামা আসামি ২০ থেকে ২৫ জন। আসামিরা সবাই আসনটির স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) ও বর্তমান সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনের সমর্থক।