টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা (২৪) এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ মে) রাত ২টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।

বুধবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সহপাঠীর মোটরসাইকেলে শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তার মাথা ফেটে প্রচুর রক্তপাত হয়।

নিহত শারমিন সুলতানা রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

সে ২০১৪ সালে রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৬ সালে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বুধবার রাতে টাঙ্গাইল শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাগমারী-চারাবাড়ী সড়কের আরিফ নগর এলাকায় মোটরসাইকেলের সামনে কুকুর দেখে চালক ব্রেক চাপলে শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যায়।

এতে তার মাথা ফেটে যায়। তখন আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মস্তিষ্কের প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করে।

ঢাকা নেয়ার পথে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকায় রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ নেয়া হয়।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।

রাত ১২টার দিকে ঢাকা নেয়ার পথে অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে সাভার এনাম মেডিকেলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এনাম মেডিকেলে নেয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় আহত শিক্ষার্থীকে বহন‌কারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে যায়।

পরে প্রায় আধা ঘণ্টা পর এনাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়।

এনাম মেডিকেলে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে শোক প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, শারমিনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। ক্যাম্পাসের বাইরে দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে।

অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলার নেই। কারিগরি ত্রুটি হতেই পারে। সম্পাদনা – অলক কুমার