আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ মামলায় যুগান্তকারী রায় প্রদান করেছেন টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার রায়ে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া কন্যা সন্তান আসামীর পিতৃ পরিচয়ে বড় হবে।
এছাড়াও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে তার ভরণপোষণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেয়া হয়।
ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলার আসামি নাজমুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
দণ্ডিত পলাতক আসামী নাগরপুর উপজেলার ভাতুরা গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে নাজমুল। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমীন এ রায় ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ পিপি নাসিমুল আক্তার জানান, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২০০৮ সনের ৬ ডিসেম্বর রাতে দণ্ডিত আসামী নাজমুল ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে।
ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের ৪নং পূর্ণবাসন আবাস্থলে ওই নারীর বসত ঘরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং তার গর্ভে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
ঘটনার পরে ধর্ষিতা টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে।
পরে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার, টাঙ্গাইল