টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের অভিযানে পৃথক তিনটি ধর্ষণ মামলার তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান পরিচালিত হয় যমুনা সেতুর গোল চত্তর, ভুঞাপুর ইব্রাহীম খান কলেজ গেট এবং সখিপুর উপজেলার যোগীরকোপা এলাকায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন:
সখিপুর উপজেলার একজন এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত এনজিও মালিক মোঃ কাদের ভূইয়া (৪০)
ঘাটাইল উপজেলার ১৫ বছর বয়সী কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত মোঃ মেহেদী হাসান (২২)
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার অভিযুক্ত মোঃ আঃ জলিল (৪১)
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
সখিপুর মামলা: ১৫ সেপ্টেম্বর এনজিও অফিসে জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর সখিপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। র্যাব গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে মোঃ কাদের ভূইয়াকে যমুনা সেতুর গোলচত্তর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
ঘাটাইল মামলা: ২০ জুলাই ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন মোঃ মেহেদী হাসান। অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে ২ আগস্ট ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়। র্যাব অভিযানে ভুঞাপুর ইব্রাহীম খান কলেজ গেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পঞ্চগড় মামলা: আঃ জলিল আত্মীয়তার সম্পর্কের জেরে একটি নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ করেন। গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানোর ফলে নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৯ অক্টোবর দেবীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যোগীরকোপা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।