টাঙ্গাইলে র্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে কথিত দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। রোববার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, শহরের কাজিপুর এলাকার মৃত হযরত আলী সরকারের ছেলে জি বাংলা’র প্রতিনিধি মো. আলমগীর হোসেন (৪০) ও পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া এলাকার মো. আব্দুল মোতালেবের ছেলে টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল টাঙ্গাইল প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার মো. তারেক রহমান (২৯)।
র্যাব-১২ এর তিন নম্বর কোম্পানী কমান্ডার মেজর আবু নাঈম মো. তালাত জানান, হুগড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলের যাওয়া আসার পথে একই গ্রামের রেকাত মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (২২) উত্যক্ত করে এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ বিষয়ে তার মেয়ে তাদের জানালে তারা ফারুকের বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। তারপরও গত ৩০ মে দুপুরে এক প্রতিবেশির মাধ্যমে ফারুক তাদের (ওই স্কুল ছাত্রী) বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তারা এ প্রস্তাব নাকচ করে দেন। পরদিন ১ জুন আতোয়ার, জহিরুল, আলমগীর ও সবুরসহ আরো কয়েকজন কথিত সাংবাদিক ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে নিজেদের র্যাব ও সাংবাদিক পরিচয় দেন। তারা ফারুকের সাথে ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। বিয়ে না দিলে ওই ছাত্রীর ক্ষতি করবে বলে তার ছবি তোলে ও ভিডিও করে। এক পর্যায়ে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
এসময় ওই ছাত্রীর বাবা-মা তাদের দশ হাজার টাকা চাঁদা দেন। তারা বাকি ৪০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে চলে আসে। পরে ওই মেয়ের বাবা-মা টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার এবং টাঙ্গাইলে দায়িত্বরত র্যাবের কোম্পানী কমান্ডারের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেন। শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে উত্যক্তকারী ফারুক এবং চাঁদা নেয়ায় অপর চার কথিত সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
রোববার সকাল থেকে দিনব্যাপী অভিযান র্যাব শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আলমগীর ও তারেক রহমান নামের দুই কথিত সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেছে বলেও র্যাব কমান্ডার জানিয়েছেন।
এ মামলার বাকি আসামীরা হলেন, দৈনিক আজকের প্রভাত পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি এস এম আতোয়ার রহমান, দৈনিক জনতার কথা পত্রিকার প্রতিবেদক জহিরুল ইসলাম, সাপ্তাহিক ইনতেজার পত্রিকার প্রতিবেদক মো. সবুর মিয়া।