টাঙ্গাইলে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

প্রাণনাশের হুমকি দেয় চালের ডিলার বাবুল

ভূঞাপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ডিলারের গোডাউন থেকে সরকারি চাল জব্দ করার ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোষ্ট.কমের সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয় চালের ডিলার বাবুল। সে উপজেলার কুঠিবয়ড়া এলাকার আকবর হোসেনের ছেলে।

এঘটনায় সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ বাদী হয়ে ডিলার বাবুলকে আসামী করে ভূঞাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এদিকে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় চালের ডিলার বাবুলকে দ্রুত গ্রেপ্তারসহ কঠোর শাস্তি দাবী করেছে সাংবাদিক সমাজ।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কুঠিবয়ড়ার চালের ডিলার বাবুল ধুবলিয়া এলাকায় গোডাউন ভাড়া নিয়ে সরকারী চাল কালোবাজারির মাধ্যমে কেনা-বেচার করতো।

পরে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর (ওএমএস) ২০০ বস্তা চাল উদ্ধার করে জব্দ করে।

পরে সরকারি চাল জব্দ করা নিয়ে সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চালের ডিলার বাবুল ওই সাংবাদিককে তার ব্যবহৃত মোবাইলে অকথ্যভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এতে নিরাপত্তাহীনতায় সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ চালের ডিলার বাবুলকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ জানান, চাল জব্দ করার সময় উপস্থিত না থাকলেও সহকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করি।

এতে নিউজ প্রকাশ হওয়ার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে বাবুল মোবাইলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

মোবাইলে সে বলে, সংবাদ প্রকাশ করে ডিলারের ক্ষতি করায় যেখানে আমাকে পাবে সেখানেই কুপিয়ে হত্যা করবে বলে বারবার হুমকি দেয়।

এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরে থানায় গিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার দাস প্রাণনাশের হুমকি প্রদানকারী ডিলারকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রাণনাশের হুমকি ঘটনায় ওই সাংবাদিক থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

দ্রুতই দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার