টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত রেললাইনে ৩০টি অরক্ষিত রেলক্রসিং স্থানীয়দের জন্য ভয়ংকর মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। মোট ৪৬টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ৩০টিতে নেই কোনো গেটম্যান। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও যানবাহন।
রেলওয়ের তথ্য মতে, ইব্রাহিমাবাদ থেকে ঘারিন্দা পর্যন্ত ১৯টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ১৩টি, ঘারিন্দা থেকে মহেড়া পর্যন্ত ১২টি এবং মহেড়া থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ৫টি অরক্ষিত। এই এলাকায় প্রায়ই ঘটে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে। ২০২৪ সালে নিহত হন ২৩ জন এবং ২০২৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ৪০।
দেলদুয়ার-বাসাইল সড়কের টেঙ্গুরিয়াপাড়া রেলক্রসিংয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার যানবাহন ও ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা চলাচল করে। গাছের ঝোপঝাড় ও স্পিডব্রেকারের কারণে ট্রেনের শব্দ প্রায় শোনা যায় না। অনেক সময় স্থানীয় দোকানদার নিজের উদ্যোগে গেটম্যানের ভূমিকা পালন করেন।
রেললাইন সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাবলা, সোনালিয়া, ও পাটখাকুরি—এই তিনটি অরক্ষিত ক্রসিং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। বাসাইল, দেলদুয়ার, মির্জাপুরসহ পাঁচটি উপজেলার লাখো মানুষ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছেন এসব পথ।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অচিরেই রেললাইন ডাবল লাইনে উন্নীত হলে এসব অরক্ষিত রেলক্রসিং রক্ষিত করা হবে।