টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের প্রশ্রয়ে দালালদের দৌরাত্ম্য চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে শতাধিক দালালের দৌরাত্বে পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন কিংবা পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে সেবা প্রত্যাশীদের পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়।

সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে ফরম জমা দিলে সেই ফরম সহজে জমা দেওয়া যায়, দালালদের আশ্রয় না নিলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা হয়রানি করেন।

তবে পাসপোর্ট অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, দালালদের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

সেবা প্রত্যাশীরা সরাসরি অফিসে এসে সেবা নিলে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হয় না।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রামপুরের হারুন নামে এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসেন পাসপোর্ট নতুন করে করার জন্য।

তিনি জানান, স্বাভাবিক নিয়মে নতুন পাসপোর্ট করার জন্য সকল প্রকার কাজ শেষ করে যখন গেলাম জমা দিতে তখন আমাকে প্রাইভেট সার্ভিস নামে একটি ভূল ধরে জমা না নিয়ে বাহিরের দালালদের দ্বারা জমা দিতে বলে ।

কিন্তু অফিসের বাহিরে আসার পর কতিপয় দালাল তাকে ঘিরে ধরে এক মাসের মধ্যে পাসপোর্ট নতুন করে দেবার কথা বলে ১০ হাজার টাকা দাবি করে।

তাদেরকে টাকা না দিলে পাসপোর্ট ফরম জমা দিতে পারবে না বলে তারা জানিয়েছে।

সুরুজ থেকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা কামরুল ইসলাম নামের এক তরুণ জানান, তিনি তার বড় ভাইয়ের পাসপোর্টের নতুন বই ইস্যু করতে টাঙ্গাইল অফিসে এসেছিলেন বুধবার সকালে।

এসময় কয়েকজন দালাল তাকে প্রধান গেইটেই পথরোধ করে। কি কাজে এসেছে তা জানতে চান।

ভাইয়ের নতুন বই ইস্যু করার জন্য এসেছেন জানালে দালালরা তার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

কিন্তু দালালের মাধ্যমে এতো টাকা দিয়ে পাসপোর্ট নবায়ন করতে রাজি না হওয়ায় দালালরা তাকে আটক করে নাজেহাল করে ।

টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক বিপুল কুমার গোস্বামীর সাথে দেখা করার জন্য গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

পরে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। সম্পাদনা – অলক কুমার