বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নির্বাচন আগামী ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর পর ব্যালটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাই করার সুযোগ পাচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা।
ফলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যপক আনন্দ আর উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাধীনভাবে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ব্যলটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রত্যাশা ও দাবি ছিল সাধারণ ভোটারদের।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের নির্বাচনে একক প্যানেল হওয়ায় ভোটাররা ভোট দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ২০২২-২৩ সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত মনোয়নপত্র বিক্রির করা শেষ হয়। এসময়ে ১৩টি পদের জন্য ২৭টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়।
এই নির্বাচনে দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক পদে শুধু একটি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া সভাপতি ২টি, সহ-সভাপতি ৪টি, সাধারণ সম্পাদক ২টি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ৪টি, কোষাধ্যক্ষ ২টি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ২টি, ক্রীড়া সম্পাদক ২টি এবং পাঁচজনটি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ৮টি মনোনয়ন পত্র বিক্রি হয়।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত।
যাচাই বাছাই ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ১৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ক্রীড়া সংগঠক হারুন-অর-রশীদ।
এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করছেন টাঙ্গাইল আদালতের সরকারী কৌশলী এডভোকেট এস আকবর খান ও বিবেকানন্দ স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে।
নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হারুন-অর-রশীদ সকল সাংবাদিকের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোট প্রদানের সময় কোন প্রকার মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে পারবে না।
সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা – অলক কুমার