চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোতে মন্তব্য করে বলেন, নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতা পাবে না বলে মনে করেই তারা পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশান) পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনামূলক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত চায় বিএনপি যাতে শান্তিতে পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করতে না পারে—তার জন্যই তারা নানা কৌশল চালায়।
ডা. সায়ন্থ বলেন, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের মতো পিআর চালু থাকা দেশগুলোতে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি বা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষণীয় উন্নতি হয়নি। একইভাবে বাংলাদেশে পিআর নিয়ে নতুন ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থির করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “পিআর নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে বসুন, আলোচনায় সমাধান করুন; নতুন-নতুন ইস্যু সৃষ্টি করে রাষ্ট্রকে অস্থির করা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, পিআর-বিরোধী আন্দোলন বা বিক্ষোভ নাটকীয়তা ডাকে—কারণ বিক্ষোভে সহিংসতা লুকিয়ে থাকে এবং প্রতিপক্ষের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় অবস্থা আরও জটিল হয়। তাই জনমত গঠনে বিক্ষোভ না করে সভা, প্রচার, জনসংযোগ ও গণমাধ্যম ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
ডা. সায়ন্থের বক্তব্য অনুযায়ী, যদি নির্বাচন–প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকে এবং ভোট সঠিকভাবে গণনা হয়, সেক্ষেত্রে জনগণই ভবিষ্যতে কি সরকার রক্ষা করবে তা নির্ধারণ করবে — আর তা না হলে পরবর্তী নির্বাচনে জনতা তাদের প্রত্যাখ্যানের সুযোগ রাখবে।