বহুল আলোচিত নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি আপিল করেন।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯৯৬ সালে ১৩তম সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এরপর জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুরোপুরি বিলোপ করা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। পরবর্তীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ অক্টোবর এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৩ অক্টোবর পৃথক আবেদন দাখিল করেন।
এছাড়া নওগাঁর রানীনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের এ শুনানি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আদালতের এই শুনানি নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।