বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনে করে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রদান দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয় এবং এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ মতামত জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন। কিন্তু লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিং এবং বিবৃতি প্রদান দেশীয় রাজনৈতিক রীতিনীতির পরিপন্থী। এতে নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিবর্তে একটি দলের প্রতি বিশেষ পক্ষপাতিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, যা জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে জনমনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
জামায়াতের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি দায়িত্বশীল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিং করা অনুচিত এবং নৈতিক দিক থেকেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব না করে কেবল একটি দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করাটা ভুল দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে।
জামায়াত আশা প্রকাশ করেছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে। একইসঙ্গে বিচার ও রাজনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রেও প্রধান উপদেষ্টা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে তারা প্রত্যাশা করছে।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা জাতির সামনে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানানো হচ্ছে।