টাঙ্গাইলের বাসাইলে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক হোটেল ব্যবসায়ী জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে । অভিযুক্ত ওই নেতার নাম লুৎফর মাতাব্বর। তিনি উপজেলার হাবলা ইউপি’র করাতিপাড়া বাইপাস এলাকার ইমরান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক ইমরানের পিতা ও একই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড জামাতের সাধারণ সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আবিরের চাচা করিম বাদী হয়ে অভিযুক্ত লুৎফর এবং তার স্ত্রী, ছেলে ইমরানসহ অজ্ঞাত আরো চারজনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন।
জামায়াত নেতা লুৎফর মাতাব্বর বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার বিল্ডিংয়ে ২য় তলার কাজ করার সময় প্রতিবেশী আবির, রানা, রিনা বেগম হঠাৎ আমার ও আমার ছেলের উপর আক্রমণ করে। এ সময় আমরা নিজেদেরকে বাঁচাতে তাদের উপর পাল্টা আক্রমণ করি।
সরজমিনে শুক্রবার করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় গেলে স্থানীয় দোকানদার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে লুৎফর মাতাব্বর তার স্ত্রী এবং ছেলে ইমরান ছাদের উপর আবীরকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে।হামলায় আহত আবিরের চাচাতো ভাই তানিম শিকদার বলেন, বাড়ির ১৬ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বাপ-চাচাদের সাথে ওদের বিরোধ চলছে। গত বুধবার উভয়পক্ষই সিদ্ধান্ত নেয় বাড়ি মাপঝোকের পর বিল্ডিং এর কাজ শুরু করা হবে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা পুনরায় বিল্ডিং এর কাজ শুরু করে। বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে আবির, রানা এবং রানু বেগম তাদের বিল্ডিংয়ের নিচতলায় দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে কাজ বন্ধ করতে বলে।
এ সময় লুৎফর আবিরকে দোতালায় ডেকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। রানা ও তার মা রানু বেগমকেও তারা মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীরা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল হাসপাতালে নেয়। পরে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। এঘটনায় এলাকার সাধারণ জনগন ফুঁসে উঠেছে। শুক্রবার বাদজুমা এলাকাবাসীর ব্যানারে লুৎফরের ফাঁসীর দাবীতে মানববন্ধন করেছে।
বাসাইল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, রাতেই মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। লুৎফর এবং তার স্ত্রীকে আজ শুক্রবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ইমরানকে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।











