নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি রোমান।
রোহান সরকার রোমান ভূঞাপুর শহর ছাত্রলীগের সভাপতি।
গতকাল রোববার রাতে তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।
পরে তার স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পরে। সাংসদ ছোট মনিরের অনুসারী ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী ওই স্ট্যাটাসটি কপি ও শেয়ার করে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু গোপালপুর উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান।
জানা যায়, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ ও গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী যৌথভাবে রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ভূঞাপুর পৌরসভা কার্যালয়ে উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে গণভোজের জন্য নেতাকর্মীদের মাঝে চাল ও নগদ টাকা প্রদান করেন।
পরে রাতে ঠান্ডু চেয়ারম্যানকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন ভূঞাপুর শহর ছাত্রলীগের সভাপতি রোহান সরকার রোমান।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা লেখেন-
“প্রিয় ভূঞাপুরবাসী একটি বিষয় আপনারাই বিচার করুন। ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু সাহেব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী!
যিনি আজকে বড় বড় ব্যানারে প্রধান অতিথি হয়ে গণভোজের অনুদান প্রদান করছেন।
কিন্তু উনি কি আদৌ প্রদান অতিথি হওয়ার যোগ্য? তিনি এত দিন কোথায় ছিলেন? করোনা মহামারির সময় কোথায় ছিলেন?
তখন তো ছোট মনির এমপি মহোদয় ব্যতীত কোন নেতাকে হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি!
অথচ আজকে জাতীয় নির্বাচনের আগে এরা কোথা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের মতো উড়ে এসে জুড়ে বসতেছে যা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক!
এইসব নেতা যদি জাতীয় সংসদে আমাদের ভূঞাপুরের প্রতিনিধিত্ব করে আদৌ আমরা কতটা লাভবান হব? প্রশ্নটা আপনাদের কাছে রইল প্রিয় ভূঞাপুরবাসী।
ভূঞাপুরে অতিথি পাখি এবং বাটপার কবিরাজ ঠান্ডুদের কোন জায়গা দিবে না ভূঞাপুরের জনগণ”।
তিনি আরও লেখেন- “আমরা ভূঞাপুর শহর ছাত্রলীগ তথা ভূঞাপুর সকল ছাত্রলীগ এবং ভূঞাপুরবাসীর পক্ষ থেকে এই স্বার্থন্বেষী তথাকথিত নেতা ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম!
এইসব নেতা যদি জাতীয় সংসদে আপনাদের গোপালপুর-ভূঞাপুরের প্রতিনিধিত্ব করে আদৌ আপনারা কতটা লাভবান হবেন প্রশ্নটা আপনাদের কাছে রইল প্রিয় গোপালপুর-ভূঞাপুরবাসী? নির্বাচনকালীন অতিথি পাখি হতে সাবধান”।
ভূঞাপুর শহর ছাত্রলীগের সভাপতি রোহান সরকার রোমান বলেন, বিগত চার বছরের মধ্যে করোনা মহামারি ও বন্যার মত বিপর্যয়ের সময়ে ঠান্ডু চেয়ারম্যান সাহেবকে কোনোদিন দেখিনি ভূঞাপুর মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে হঠাৎ করে সে লোক দেখানো কিছু চাল ও নগদ টাকা প্রদান করে।
যে নেতা সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়াবে ও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে তাকেই ভূঞাপুরে চাই আমরা।
ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা তিন বারের উপজেলা চেয়ারম্যান ঠান্ডু যা বলেন –
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু জানান, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।
এ শোক দিবস উপলক্ষে প্রতিবারের ন্যায় এবারও নেতাকর্মীদের মাঝে চাল ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
এনিয়ে যেই মন্তব্য করুক সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয় ও অত্যন্ত নিন্দনীয়।
তাছাড়া আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি।
তাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতেই পারি, গতবারও চেয়েছিলাম।