অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং তাঁর বোন হোসনা সিদ্দিকীকে জড়িয়ে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি জানান, কোনো সূত্র ছাড়াই কল্পনানির্ভর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার উল্লিখিত তিনজনকে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিতে চায়। এমনকি প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাদের কথিত ‘রাষ্ট্রদূত হওয়ার খায়েশ’ পূরণে পেশাদার কূটনীতিকদের দুর্বল অবস্থায় ফেলা হচ্ছে।
প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, “রাষ্ট্রদূতের মতো সম্মানজনক পদের সঙ্গে ‘মাখন খাওয়া’ বা ‘গাছেরটা খেয়ে তলারটা কুড়ানো’ ধরনের অবমাননাকর উপমার ব্যবহার চরম নিন্দনীয়। এ ধরনের ভাষা প্রয়োগ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ স্পষ্টভাবে ব্যক্তিগত বিদ্বেষের প্রকাশ।”
তিনি জানান, এ বিষয়ে লামিয়া মোর্শেদ প্রতিবাদ জানালে মানবজমিন দাবি করে যে প্রাথমিক আলোচনার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে—যা তাঁর মতে সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি আরও বলেন, “একটি দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যম কখনোই এমন অপেশাদার, অসত্য ও অবমাননাকর প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে না। মানবজমিন নিজেদের তৃতীয় সারির সংবাদমাধ্যমের অবস্থানে নামিয়ে এনেছে এবং এ বিষয়ে কোনো ক্ষমাও প্রার্থনা করেনি।” তিনি মানবজমিনকে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশের আহ্বান জানান।
লামিয়া মোরশেদের অবস্থান প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোরশেদ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন—
তিনি কূটনৈতিক ক্যাডারে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছা ব্যক্ত করেননি।
তিনি বলেন, “আমি কোথায় আছি সেখানেই থাকতে চাই। ৩১ বছর ধরে ইউনূস সেন্টারে কাজ করছি। দেশের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। কোনোভাবেই রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করিনি।”
তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব শেষ হলে তিনি আর সরকারি কাজে যুক্ত থাকতে চান না।
পটভূমি সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নিয়াজ আহমেদ খান, লামিয়া মোরশেদ, লুৎফে সিদ্দিকী ও হোসনা সিদ্দিকীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে ঢাবি ভিসিকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রদূত করতে সরকার কোপেনহেগেনে এগ্রিমো পাঠিয়েছে।











