গাজা উপত্যকায়, মার্কিন সমর্থিত একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের স্মরণার্জনে অপেক্ষমান হাজারো মানুষের ওপর বুধবার সকালে ইস্রায়েলি ট্যাংক ও ড্রোন থেকে গুলি করা হয়েছে। স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, এতে অন্তত ৩১ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন ।
বিশ্বস্ত সূত্র জানাচ্ছে, স্থানীয় সময় রাত ২টা থেকে লোকজন খাবার সংগ্রহের আশায় কেন্দ্রে জড়ো হতে শুরু করেন। ভোরের দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে — গুলি চালানো হয় ট্যাংক ও ড্রোন থেকে, যা মূলত বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে ।
গাজা শহরের আল‑শিফা হাসপাতাল বলেছে, তারা ২৪ জন নিহতের দেহ গ্রহণ করেছে এবং ৯৬ জন আহতকে চিকিৎসা দিয়েছে। অন্যদিকে, নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের আল‑আওদা হাসপাতাল ৭ মৃতদেহ ও ১১২ জন আহতকে চিকিৎসার আওতায় এনেছে ।
রয়টার্স জানাচ্ছে, গাজা হিউমানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) ২৭ মে থেকে এই কেন্দ্র চালু করার পর থেকে এ জাতীয় গোলাগুলির ঘটনা বহুবাই ঘটছে। এতে জীবনের ঝুঁকি এবং মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে এখনও মন্তব্য করে নি, এবং গাজায় সাংবাদিকদের উপস্থিতি ও প্রতিবেদন পৌঁছে দেওয়ার কষ্টজনক পরিবেশের কারণে নির্ধারিত সংখ্যার তথ্য আলাদাভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি ।
🌍 প্রসঙ্গ
পটভূমি: গাজার উপর চলমান অবরোধের মধ্যে GHF পরিচালিত নতুন খাদ্য সহায়তা কেন্দ্র চালু।
মানবিক পরিস্থিতি: খাদ্যাভাবে লক্ষ লক্ষ শিশু, বৃদ্ধ ও অসহায় মানুষ।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলকে সর্তক করেছে—নির্দিষ্টভাবে এ ধরনের সহিংসতা মানবিক সাহায্য প্রদান অবরুদ্ধ করে।
এই ভয়াবহ ঘটনার ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে—দ্রুততম মানবিক সহায়তা নিশ্চিত ও নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় নিরাপদ খাদ্য বিতরণ কাঠামো গড়ে না তোলায় দায়ীদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে কঠোর প্রতিক্রিয়া আশা করা হচ্ছে।