নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হুগড়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফার বিরুদ্ধে মারধর ও মানহানির অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে।
মামলার বাদীরা হলো– হুগড়া ইউনিয়নের চর হুগড়া গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম মন্ডল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোরশেদ আলম দুলাল ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আইয়ুব আলী।
সোমবার (৯ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর থানা আমলী আদালতে তিনটি মামলা দায়ের করেন তারা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম তিনটি মামলার মধ্যে মো. সাইফুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলাটি আমলে নিয়েছেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দেন।
অপর মামলা দুটির তদন্ত করে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী আব্দুস ছালাম চাকলাদার ও মীর শামসুল আলম শাহজাদা জানান, মো. সাইফুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলায় হুগড়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফাকে প্রধান আসামি করা হয়।
এছাড়া আরো ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
আর মো. মোরশেদ আলম দুলাল ও মো. আইয়ুব আলীর দায়েরকৃত মামলা দুটিতে চেয়ারম্যান তোফাকে একক আসামি করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, তিনটি মামলার মধ্যে দুটিতে মারপিট ও মানহানির কারণে ফৌজদারী দন্ডবিধির ৫০০ ও ৫০৬(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অপরটিতে প্রাণনাশ ও গুমের চেষ্টা এবং অঙ্গহানির কারণে দন্ডবিধির ৩৬৫/৩৪২/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২)/১০৯ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলায় অভিযুক্ত হুগড়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা জানান, অভিযোগকারীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘সর্বহারা’ দলের সদস্য।
তাদের সাথে নানান বিষয়ে আমার বিরোধ রয়েছে।
তোফা জানান, আমি অভিযোগকারীদের নামে আমি থানায় একটি মামলা করেছি।
তিনি আরও জানান, আমার বাবা যখন চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন বাদিরা তার নামে ১৬-১৭টি মামলা করেছিলেন।
আমার নামে দায়েরকৃত মামলা আমি আইনগতভাবেই মোকাবেলা করব।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আলমগীর আশরাফ জানান, আদালতে দায়েরকৃত মামলার আদেশের কপি থানায় আসেনি।
কপি পেলে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।