কুমিল্লার দেবিদ্বারের দুই মেধাবী শিক্ষার্থী রাজিদ আয়মান ও হাসিবুল হাসান চৌধুরী এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ওনজু শহরে স্কুটি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তারা বর্তমানে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
মেধাবী দুই বন্ধু, একই স্বপ্ন শৈশব থেকেই রাজিদ ও হাসিবুল ছিলেন অবিচ্ছেদ্য বন্ধু। একই বেঞ্চে বসা, একই পোশাক পরা থেকে শুরু করে পড়াশোনায়ও সমান কৃতিত্ব অর্জন করতেন। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর উচ্চশিক্ষার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার কিউংডং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিভাগে ভর্তি হন তারা।
দুর্ঘটনার বিবরণ গত ২৭ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই শিহাবের চালানো স্কুটিতে তারা ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন। স্পিডব্রেকারে নিয়ন্ত্রণ হারালে তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিবার ও এলাকার শোকাবহ পরিবেশ দেবিদ্বারের ফতেহাবাদ ও ধামতী গ্রামে এখন শোকের আবহ। দুই শিক্ষার্থীর জন্য পরিবার, শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা দিনরাত দোয়া করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহপাঠীরাও তাদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন।
রাজিদের বাবা নান্নু মিয়া বলেন, “ছোটবেলা থেকেই ছেলের স্বপ্ন ছিল বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন। অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করে তাকে কোরিয়ায় পাঠাই। আজ সে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।”
হাসিবুলের বাবা ওমর ফারুক চৌধুরী জানান, “দূর দেশে চিকিৎসার খরচ বহন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সরকার ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করছি।”
চিকিৎসা ব্যয় ও সংকট ওনজুর হাসপাতালে প্রতিদিনের চিকিৎসা খরচ ক্রমেই বাড়ছে। অর্থনৈতিক চাপ, মানসিক কষ্ট ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে দুই পরিবারের সদস্যরা। স্বজনরা সরকারের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।