ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পাসওভারের ছুটিতে গোলান হাইটসের দখলকৃত সিরীয় এলাকায় হাইকিং ট্যুরের আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। আগামী রবিবার থেকে শুরু হয়ে সপ্তাহব্যাপী চলবে এই সামরিক নিরাপত্তায় পরিচালিত বিতর্কিত পর্যটন কার্যক্রম।
পর্যটকদের বুলেটপ্রুফ বাসে ২.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে তারা দেখতে পাবেন সিরিয়ার হারমন পর্বত, লেবাননের শেবা খামার ও ঐতিহাসিক হেজাজ রেলপথের অংশ। এছাড়া রাদান নদীতে সাঁতার ও রুক্কাদ উপত্যকায় হাইকিংয়ের সুযোগও থাকবে।
এই পর্যটন পরিচালনায় অংশ নিচ্ছে আইডিএফের ২১০তম ডিভিশন, গোলান আঞ্চলিক কাউন্সিল, কেশেত ইয়েহোনাতান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং ইসরায়েলের প্রকৃতি ও উদ্যান কর্তৃপক্ষ। আয়োজনটি ‘নিরাপদে উত্তরে ফেরা’ নামক বৃহত্তর একটি উদ্যোগের অংশ।
ইসরায়েলের দাবি, এই ভ্রমণ ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে এবং গোলান অঞ্চলে যুদ্ধকালীন ঘটনাগুলো জানাতে সহায়ক হবে। তবে সিরিয়ার দখলকৃত এলাকায় এ ধরনের পর্যটন নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষ করে, ১৯৭৪ সালের চুক্তি ভেঙে ইসরায়েল যেভাবে সিরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
ইসরায়েল জানায়, পর্যটকরা স্বেচ্ছায় ঝুঁকি নিয়ে এ ট্যুরে অংশ নেবেন এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হলে স্বল্প নোটিশে ট্যুর বাতিল করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সিরিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন ইসলামপন্থী সরকারের বাহিনী সীমান্ত থেকে দূরে থাকবে এবং বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত আইডিএফ অঞ্চলটি দখলে রাখবে।
এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।