নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, কাউকে যেন দানবে পরিণত হতে না হয়, সেই লক্ষ্যেই উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ কি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে?’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে উচ্চকক্ষের পক্ষে ছিলাম না, কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের প্রয়োজনে এ প্রস্তাবে একমত হয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা ট্যাংকে চড়ে বা উর্দি পরে ক্ষমতায় আসেননি, তিনি নির্বাচনের মাধ্যমেই এসেছিলেন। কিন্তু জবাবদিহিতা ও ভারসাম্যহীনতার অভাবই তাকে স্বৈরাচার বা দানবে পরিণত করেছে। আমাদের লক্ষ্য হলো— এই ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “২০০১ সালে বিএনপি ৪০.৯৭% ভোট পেয়ে ১৯৩টি আসন পেয়েছিল, আর আওয়ামী লীগ ৪০.১৩% ভোট পেয়ে মাত্র ৬২টি আসন পেয়েছিল। আবার ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ৪৮.৪% ভোটে ২৩০টি আসন পেয়েছিল, আর বিএনপি ৩২.৫% ভোটে মাত্র ৩০টি আসন। এই অসামাঞ্জস্যতাই রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করে।”
তিনি বলেন, “এই বাস্তবতা বিবেচনায় উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব রাজনৈতিক ভারসাম্য ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।”