বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ৫ মাস ২৩ দিন পর শহিদ সুজনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের নির্দেশে শহিদ সুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের নিজস্ব পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় লালমনিরহাট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শাফায়াত আখতার নূর উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুজন ওই এলাকার সহিদুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে সুজন আহত হলে সহযোদ্ধারা তাকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিলে চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে ৬ আগস্ট শহিদ সুজন হোসেনের মরদেহ তার নিজ বাড়ি হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামে নিয়ে এসে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় শহিদ সুজনের বাবা সহিদুল ইসলাম গত ২১ আগস্ট আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
সেই মামলার তদন্তের জন্য পুলিশ আদালতে আবেদন করেন। আদালত লালমনিরহাট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শাফায়াত আখতার নূরের উপস্থিতিতে সুজনের লাশ উত্তোলন করার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে সুজনের লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন নবী বলেন, ঢাকার আশুলিয়ায় ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শহিদ সুজন গুলিতে নিহত হন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আজ তার লাশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উত্তোলন করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।











