বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১৯ বছর আগে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলেও আজ দেড় যুগ পরেও দলের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা তাড়িত করছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ সংসদে এককভাবে, অষ্টমে জোটগতভাবে ক্ষমতায় থাকার পর দলটি দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতির বাইরে থেকেছে। যদিও জুলাই ২০২২’র গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক আবহ বদলেছে, বিএনপি এখনও অভ্যন্তরে বিভক্ত।
সম্প্রতি অন্তত ৫০ শতাংশের বেশি সাংগঠনিক জেলায় কাউন্সিল হয়েছে। ড্যাব, এ্যাবসহ প্রধান পেশাজীবী সংগঠনগুলোও নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে। তবে পুরনো নেতাদের প্রভাব কমেনি, ফলে তৃণমূলের উৎসাহ থাকলেও অভ্যন্তরীণ বিরোধ তীব্র। দীর্ঘদিন কমিটি না থাকার কারণে বিএনপির ১১টি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনও স্থবির রয়েছে।
দশম ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বয়কট করলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলটি ভোট কারচুপি ও নির্বাচনের দিন ইস্তফার মতো ঘটনায় রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে গেছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ইউনিয়ন ও উপজেলায় সচেতন প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে পুরাতন নেতৃত্বের পুনরাবৃত্তি ও স্বচ্ছতার ঘাটতি দলীয় কাঠামোতে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও বিরোধ দেখা দিয়েছে। ডাক্তার ও প্রকৌশলী সংগঠনগুলোর কমিটিতে দীর্ঘদিন নিস্ক্রিয় বা প্রবাসী নেতা গুরুত্ব পেয়েছেন, যেখানে স্থান পাওয়ার যোগ্য কেউ বাদ পড়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকা অবস্থায় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর স্থবিরতা পার হওয়ার কোনো উদ্যোগ না নেওয়া বিএনপিকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলতে পারে। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে বলেন, “রাষ্ট্রীয় নির্বাচনের জয়-পরাজয় গণতন্ত্রের অংশ। দলীয় পদ বিতরণে কোনো বড় অপরাধীকে আনা হয়নি।”