দেলদুয়ার সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ইয়াছিন (১৮) নামের যুবক ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের কসবা আটিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে ।
এর আগে একটি ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সালিশের একটি পক্ষ ছিলেন ওই যুবক। ইয়াছিন কসবা আটিয়া গ্রামের মো. হানিফ মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঘটনাটি মিমাংসায় এক সালিশি বৈঠক বসে। রাতে ইয়াছিন নামের যুবকটি আত্মহত্যা করেন।
আটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জোসন আলী বলেন, শুক্রবার মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে ওই যুবকের সঙ্গে প্রতিবেশী সোলায়মান মিয়ার ছেলে আজিম মিয়ার মারামারির ঘটনা ঘটে।
ইয়াছিন ও আজিমের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মিমাংসায় কসবা আটিয়া গ্রামের আব্দুল মিয়ার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এক সালিশি বৈঠক বসে।
বৈঠকে উভয়ের মধ্যে আলিঙ্গনের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেওয়া হয়।
এছাড়া ইয়াছিনকে মোবাইল ফোনের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য আজিমকে নির্দেশ দেয়া হয়; কিন্তু জানতে পেরেছি রাতেই ইয়াছিন নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুন- টাঙ্গাইলে ট্রাক চাপায় স্কুল শিক্ষক নিহত
এ ঘটনার রেশ ধরে রাত ৩টার দিকে ইয়াছিনের বাড়ির লোকজন সোলায়মানদের বাড়ি এবং তার চাচা কসবা আটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শহিদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের মারধর শুরু করে।
একপর্যায়ে শিক্ষক শহিদুর রহমানকে হামলাকারীরা তুলে নিয়ে যায়। পরে মৃত ইয়াছিনের বাড়িতে নিয়ে দুহাত বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে।
দেলদুয়ার থানা পুলিশ ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে মৃত ইয়াছিনের বাড়ি থেকে আহতাবস্থায় শহিদুর রহমানকে উদ্ধার করে।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতাবস্থায় শহিদুর রহমান নামের শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যাকারী যুবক ইয়াছিনের লাশ তার শোয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।