টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন ইউনিয়নে ধর্ষণের অভিযোগ সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নির্ধারিত জরিমানার ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য—এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
ঘটনাটি ঘটেছে আবাদপুর মধ্যপাড়া গ্রামে। এলাকাবাসীর তথ্যমতে, গত ৪ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে একই গ্রামের মো. বাতেম মোল্লার ছেলে রিপন মোল্লাকে আটক করা হয়।
পরদিন ৫ আগস্ট এলাসিন ইউপি চেয়ারম্যান মানিক রতন ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার যুবলীগ নেতা সোহেলের মধ্যস্থতায় গ্রাম্য সালিশ বসে। সেখানে রিপনকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ওই টাকা ঘটনাস্থলেই আদায় করে মেম্বার সোহেলের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়।
তবে অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী কোনো অর্থ পাননি। বরং মেম্বার ও চেয়ারম্যান মিলে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ইউপি সদস্য সোহেল দাবি করেন, “৫০ হাজার টাকা ভুক্তভোগী নারীকে, আর ৪০ হাজার স্থানীয় ক্লাবে দেয়া হয়েছে।” তবে তিনি নিজে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, কৃষকদল নেতা রমিজ রেজা বলেন, “আমি শহরে, পরে এ বিষয়ে জানাব।”
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান মানিক রতন এর আগেও ভোট কারচুপি ও নাশকতা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হন। জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে পুনরায় পরিষদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।