টাঙ্গাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

দেলদুয়ার-নাগরপুরে বিজয়ীদের নাম আর সদরে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট ঘোষণা

নাগরপুর ও দেলদুয়ারে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান
নাগরপুর ও দেলদুয়ারে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে নাগরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কেএম সালমান শামস ও দেলদুয়ার উপজেলায় মাহমুদুল হাসান মারুফ বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

আর টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা জানানো হয়েছে।

এখনো কাউকে বিজয়ী বা পরাজিত ঘোষণা করা হয়নি।

তবে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায় তোফাজ্জল হোসেন খান (তোফা) সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী তোফা সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন।

বুধবার (২৯ মে) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

দেলদুয়ার উপজেলায় মাহমুদুল হাসান মারুফ ২৯ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেলিফোন প্রতীকে এম শিবলি সাদিক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫৪ ভোট।

নাগরপুর উপজেলায় কেএম সালমান শামস আনারস প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুছ ছামাদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮১৭ ভোট।

টাঙ্গাইল সদরে ৬ হাজার ৮৩৯ ভোটে এগিয়ে তোফাজ্জল হোসেন তোফা
টাঙ্গাইল সদরে ৬ হাজার ৮৩৯ ভোটে এগিয়ে তোফাজ্জল হোসেন তোফা

অপরদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকে তোফাজ্জল হোসেন তোফা ৪২ হাজার ৪৭ ভোট পেয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক হোসেন মানিক পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২০৮ ভোট।

অন্যান্য উপজেলায় বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হলেও সদর উপজেলায় প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা সংখ্যা জানিয়ে দেয়ার কারণ হিসেবে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মাদ আলী জানান, প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণার দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার।

৩০ মে (বৃহস্পতিবার) রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করবেন।

এর আগে শান্তিপূর্ণভাবে তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার এবং নাগরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলে।

নির্বাচনে ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১০ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৮ প্লাটুন বিজিবিসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।