নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশজুড়ে অব্যাহতভাবে নারী ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও দিনব্যাপী অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে ফাতেমা আক্তার বিথিসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল থেকে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসুচি পালন করেছেন তারা।
সিলেট এমসি কলেজ ও নোয়াখালীসহ সারা দেশে ধর্ষণের মতন এমন ঘটনার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বিথির সাথে একত্রিত হয়ে যোগদান করে সাধারণ ছাত্র সমাজ।
এসময় তারা বলেন, গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে সারাদেশে।
শনিবার নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটায় এবং তা ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা ওই মহিলাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়।
সেই অনৈতিনক প্রস্তাবে মহিলা রাজী না হলে তারা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।
গত সপ্তাহে সিলেটের মুরারি চাঁদ কলেজ এলাকায় স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে একজন নারী গণধর্ষণের শিকার হন।
সমাজে সাধারণত যেসব অন্যায়-অপকর্ম ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটে, তার মধ্যে নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্যতম হচ্ছে ধর্ষণ।
নারী নির্যাতন রোধে বিভিন্ন আইন ও তাতে শাস্তির বিধান থাকলেও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে নারীর ওপর সহিংসতা দিনদিন বাড়ছেই।
ছোট-বড় সব নারীর সম্মান রক্ষা করা সমাজের নৈতিক দায়িত্ব এবং নারীর ওপর সহিংসতা বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিষয়টিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
এসময় ফাতেমা আক্তার বিথি বলেন, সারাদেশে যে ধর্ষণ শুরু হয়েছে তা থেকে আমরা বাঁচতে চাই। আমরা ধর্ষকের শাস্তি চাই।
আমি সকাল থেকে টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি আমার সাথে টাঙ্গাইলের সাধারণ ছাত্র সমাজ যোগ দিয়েছে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের দাবী একটাই বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ধর্ষকের ঠায় নাই।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক সাম্য রহমান বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে আবারো একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন প্রয়োজন।
যেখানে প্রতিটি সাংস্কৃতিক কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে যত বাঁধাই আসুক। সম্পাদনা – অলক কুমার