সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে জাতীয় বেতন কমিশন। প্রস্তাবে ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় বেতন কমিশনের সভায় এই খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সূত্র জানায়, নতুন পে-স্কেল আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কার্যকর হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন-ভাতা পেতে পারেন।
এর আগে গত ২৭ জুলাই গঠন করা হয় জাতীয় বেতন কমিশন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নতুন পে-স্কেল কার্যকর হলে কিছু সুবিধা বাতিল করা হবে। এতে ‘সাকুল্য বেতন’ বা ‘পারিশ্রমিক’ নামে বিকল্প কাঠামো প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে বিদ্যমান বেতন কাঠামোর ভাতাসহ অন্যান্য আর্থিক ও অনার্থিক সুবিধা থাকবে না।
বেতন কমিশন মনে করছে, বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা যে সম্মানী নিচ্ছেন, তা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়—এ কারণেই এসব ভাতা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতি বছর এসব খাতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পে-কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে। তিনি আরও বলেন, গেজেট প্রকাশের পরই নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন শুরু হতে পারে, যা আগামী বছরের শুরুতেই কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।