নদী নেই, খাল-বিলও নেই, তবুও নির্মাণ করা হচ্ছে ৯ কোটি টাকার ব্রিজ। আছে শুধু দুই পাশে বাড়ি-ঘর।। অজানা কারণে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজটি। ইতোমধ্যে ব্রিজের পাইলিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ব্রিজটি যেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে এটি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের রতনগঞ্জ খিলগাতী গ্রামে।
সড়ক বিভাগের অফিস সূত্রে জানা যায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্থায়নে ৩৪.৮৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ১ কোটি ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এই ব্রিজ। ব্রিজটির নির্মাণ কাজ পেয়েছেন এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা লিমিটেড নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সাধারণত ব্রিজ নির্মাণ করা হয় পানি প্রবাহ কিংবা যেখানে কোনো খাল-বিল এবং নদীনালা থাকে। কিন্তু নির্মাণাধীন ব্রিজটির দুই পাশে নেই কোনো জলাশয় বা নদী। সরেজমিনে দেখা মিলে, যেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে, তার দুই পাশে ২৫ বছর আগে বাড়ী ঘর করে জনবসতী গড়ে উঠেছে। কোনো খাল-বিল, নদীনালা ও জলাশয় নেই যে, ব্রিজের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হবে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিদের অভিযোগ এখানে সরকারি টাকা অপচয় না করে এই টাকা অন্য কোন রাস্তায় কাজে লাগাতে পারলে মানুষ উপকৃত হতো।
কালিহাতী উপজেলার রতনগঞ্জ বাজার এলাকার শাহ আলম বলেন, নদী বা খালের পানি প্রবাহের পথ তো দূরে থাক, ব্রিজের দুই পাশে বাড়ী ঘর ছাড়া কিছুই নেই। এখানে ব্রিজের কোন প্রয়োজনই নেই। খিলগাতী গ্রামের নান্নু মিয়া, আজগর আলী, মইন উদ্দিন বলেন, গরু ছাড়া গোয়ালের যেমন মূল্য নেই। ঠিক তেমনি কোনো জলাশয় বা নদী ছাড়া ব্রিজের কোনো মূল্য নেই। এখানে কেন ব্রিজ নির্মান করা হচ্ছে আমরা কেউ জানি না।
তারা আরো জানান, লোহার ব্রিজ অনেক আগে করা ছিল, তখন কাজে লাগতো। এখানে ২৫ বছর আগে বাড়ী করা হইয়েছে, এখন দুই পাশেই বন্ধ।
এ বিষয়ে মধুপুর সড়ক বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহেল মাহমুদ জানান, আমরা কোন প্যানেল বন্ধ করতে পারি না, পূর্বে এখানে লোহার ব্রিজ ছিল। সেখানে ব্রিজ করতে হবে। তাছাড়া ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য বন্ধ হলে কিভাবে পানি প্রবাহিত হবে। এজন্য এখানে ব্রিজ করা হচ্ছে। ব্রিজের পশ্চিম এবং রাস্তার দক্ষিণ পাশের গ্রামের লোকজনের পায়ে হেঁটে যাওয়ার একটি রাস্তা আছে সেখানে যে কোন প্রতিষ্ঠান কালপাট বা ব্রিজ করবে।











