নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দৈত্যাকৃতির দানব গাড়ির উৎপাতে অতিষ্ট জনসাধারণ।
নাগরপুর উপজেলায় অবৈধভাবে দাপিয়ে চলছে এই অবৈধ ট্রলি।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন মাঝে মধ্যে সকল যানবাহনের কাগজপত্র নিরীক্ষার উদ্যোগ নিলেও অবৈধভাবে পরিচালিত ট্রলি ট্রাক্টর নামের যানবাহনটি বন্ধে কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেই।
দৈত্যাকার এ ট্রলি ট্রাক্টর কেড়ে নিচ্ছে নিরহ পথচারীসহ অনেকের প্রাণ।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্রলি নামে স্থানীয় ভাবে পরিচিত এইসব যন্ত্র মূলত চাষাবাদের কাজে ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি।
চাষাবাদের মাঠে চলাচলের এই যন্ত্রটিকে একশ্রেনির মুনাফা লোভী লোক অতিরিক্ত চাকা ও ট্রলি সংযোজন করে ট্রাক হিসেবে ব্যবহার করছে।
সড়কে চলাচলের কোন বৈধতা না থাকলেও অদৃশ্য কারণে অবাধে চলাচল করছে দৈত্যাকৃতির ওই যানটি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নাগরপুর উপজেলায় অন্তত ৩৫০ থেকে ৪০০টি এমন যান রয়েছে।
৬ চাকা বিশিষ্ট দৈত্যাকৃতির যানটির চালকের কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি না থাকলেও মুনাফা লোভীদের ছত্রছায়ায় সকল সড়কে ফ্রি-স্টাইলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
সেই সাথে অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক দ্বারা চালানোর কারণে ঘটছে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা।
জনসাধারণ আক্ষেপ করে জানান “ওই দানব আকৃতির যান রাস্তায় চলাচলের সময় রাস্তা কাঁপতে থাকে; পাকা রাস্তার বেহাল দশা করেছে এই দৈত্যাকৃতির ট্রলি।
শীঘ্রই এই দৈত্যাকৃতির যান চলাচল নিষিদ্ধ না করলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে”।
এই যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে এবছর প্রায় ৫ জনের প্রাণহানীর ঘটনাসহ বহু লোক পঙ্গু হয়েছে। তাই জনসাধারণের দাবী পাকা ও কাঁচা রাস্তা বাঁচাতে চাইলে মাহিন্দ্র ট্রাক্টর আমদানি নিষিদ্ধ করা হউক।
যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে অন্তত মাটি খেকোদের ব্যবসায়িক কাজে এই যান ব্যবহার বন্ধ করা হোক”।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান জানান, আইন শৃঙ্খলা মিটিংএ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সকাল ৮টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোন ট্রলি চলতে পারবে না।
বালু পরিবহনের সময় ত্রিপল বা পর্দা ব্যবহার করতে হবে এবং হাইওয়ে সহ অন্যান্য রাস্তায় গতিসীমা সর্বোচ্চ ৪০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনগত ব্যস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার