নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ২১ ঘন্টার মধ্যে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার।
চোরচক্রের এক সদস্যকে আটক করেন এলাকাবাসী।
সে উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের কাজীবাড়ী গ্রামের মো. উজ্জল মিয়ার ছেলে মো. শাহিন মিয়া ওরফে ডিজে শাহিন (২৬)।
আটককৃত চোর শাহিনকে আইনের কাছে সোপর্দ না করে পিতার জিম্বায় রেখে দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বররা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে মোটরসাইকেল (কাল রঙ্গের ডিসকভারি, রেজি: নং টাঙ্গাইল হ-১২-৪০১০) রেখে দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল অফিসিয়াল কাজে ইউএনও অফিসের দু’তলায় যান।
কয়েক মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ করে নিচে আসেন; আর পার্কিং করে রাখা মোটরসাইকেলটি দেখতে না পেয়ে সে ইউএনও অফিসের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ চেক করেন।
সেখানে দেখা যায় একজন তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে যাচ্ছে।
ফুটেজ থেকে মোটরসাইকেলসহ চোরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে দেন।
মুহুর্তের মধ্যে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গেলে চোরকে সনাক্ত করতে সক্ষম হন এলাকাবাসী।
বুধবার রাতে চোর শাহিনকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে চাঁন্দুরা একটি চা দোকানের সামনে থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
মোটরসাইকেল চোরচক্রের অন্যতম সদস্য ডিজে শাহিনকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বররা আইনের হাতে তুলে না দিয়ে চোরের পিতার জিম্বায় দিয়ে দেন।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য –
মোকনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ জানান, শাহিন ছোট বড় অনেক চুরির ঘটনার সাথে জড়িত।
একের পর এক সে অপরাধ করে যাচ্ছে। উপজেলা থেকে মোটরসাইকেলটি চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী তাকে আটক করে।
পরে মোকনা ইউপি সদস্য রহমান, সামছুল ও মহিলা সদস্য রাশেদা বেগম বিচারের আশ্বাস দিয়ে শাহিনকে তার পিতা উজ্জলের জিম্বায় রাখেন।
ওই সময় আমি সহ এলাকার আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মোকনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রহমান ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড (৭, ৮ ও ৯) সদস্য রাশেদা বেগম বলেন, মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।
সেই সাথে শাহিনকে আমরা এবং গ্রামের নেতৃবৃন্দ মিলে তার পিতার হেফাজতে দিয়েছি। শুক্রবার সকালে তার বিচার করা হবে বলে জানান।
মোটরসাইকেল মালিক ইউপি সচিব মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, বুধবার পরিষদের কাজে গাড়ি নিয়ে উপজেলায় গেলে সেখান থেকে আমার গাড়িটি চুরি হয়।
সিসি ফুটেজ দেখে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চোরকে সনাক্ত করতে সক্ষম হই।
চোর ডিজে শাহিনের তথ্য মতে কোনাবাড়ী চান্দুরা থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করি। সম্পাদনা – অলক কুমার