টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নমুনা শষ্য কর্তনের মধ্য দিয়ে বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। ফলন বাম্পার হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে রয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সংকট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে এক মাসের মধ্যে উপজেলার সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব। সোমবার উপজেলার কাঠুরীতে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে নমুনা শস্য কর্তনের মধ্য দিয়ে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটার ধুম পড়ে যাবে।
নাগরপুর উপজেলার কৃষকরা যেন বছরের একটিমাত্র ফসল বোরো ধান নিরাপদে-নির্বিঘেœ ঘরে তুলতে পারেন সে লক্ষ্যে নানা ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনকে কৃষি শ্রমিকদের তালিকা সরবরাহ, অসুস্থ হলে চিকিৎসককে জানানো, কৃষি যন্ত্রপাতির দোকান বন্ধের আওতামুক্ত, বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক না আনা ইত্যাদি।
নমুনা শষ্য কর্তন পরিদর্শনে এসে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর পাশাপাশি এ মূহুর্তে উপজেলার বোরো ধান নিরাপদে ঘরে তুলে আনাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এ লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। ব্রি-২৮ ও ২৯ জাতের ধানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নিচু এলাকায় আবাদ করা দেশি ও ব্রি-২৮ জাতের ধান বিক্ষিপ্তভাবে কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। মাঠ জুড়ে আধাপাকা ধানের সমাহার। জমির পাড়ে ধান মাড়াই ও শুকানোর জন্য কৃষান-কৃষানিরা ব্যস্ত খোলা তৈরির কাজে।
কাঠুরী গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই বছর বোরো ধানের ফলন ভাল হইছে। আজ থেকে কেউ কেউ কাটা শুরু করছে। পুরাদমে কাটা শুরু করতে আরও চার-পাঁচ দিন লাগবে।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, ‘এবার নাগরপুরে বোরা ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলা চলে। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব। এমনটা হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।